পৃথিবীতে আসলে তিন ধরণের মেয়ে আছে। ১ম টাইপ হচ্ছে মা-বাবার বাধ্য মেয়ে। এরা বড় হয় মা-বাবার আদরে, না চাইতেই এরা যেন সব পেয়ে যায়।কিন্তু এদের রিলেশন বা সম্পর্ক করার কোন স্বাধীনতা থাকে না। এরা হচ্ছে পোষা পাখির মত, সবই পায়, শুধু ওড়ার স্বাধীনতা পায় না।
২য় আর একধরণ এর মেয়ে আছে, এদেরও সম্পর্ক করার অধিকার নেই। তেমন স্বাধীনতাও নেই। কিন্তু এদের মনের ভিতরে একধরণের কষ্ট বা একাকীত্ব থাকে। এর জন্য এরা কিছুটা স্বাধীনচেতা হয় বা নিজের জীবন নিয়ে সহজেই বাজী ধরে। পরিবারের সাথেও এক ধরণের দূরত্ব থাকে এদের।
৩য় টাইপের মেয়েদের বেশ স্বাধীনতা থাকে এবং সঙ্গী নির্বাচনেরও অধিকার এদের থাকে।
এখন কথা হল এই তিন ধরণের মেয়েদের মধ্যে যদি কেউ হয় আপনার পছন্দের মানুষ, তাহলে কীভাবে তার সাথে সম্পর্কে জড়াবেন??
তিন ধরণের মেয়ে যেহেতু তিন রকম তাই তাদের সাথে সম্পর্কও হয় তিন রকমের।
প্রথমেই ধরা যাক ৩য় টাইপ। এরা যেহেতু স্বাধীনতায় বড় হয়, এরা অনেক কিছু শিখতে পারে, অনেক মানুষ এর সাথে মিশে অনেক অভিজ্ঞতাও অর্জণ করে থাকে। তাই এরা বাস্তববাদী হয়। এরা সম্পর্কও করে বেশ বাস্তবতার ভিত্তিতে। তাই এদের সাথে সম্পর্ক করতে হলে বাস্তবতা মাথায় রাখতে হবে।এরা কিন্তু ইচ্ছা হলে আপনাকে বাদ দিয়ে একা থাকতে পারে, আবার অন্য কাউকে নিয়েও থাকতে পারে। এদের কাছে ভালবাসা হচ্ছে ভালোলাগা এবং ভালো থাকা।
২য় টাইপের স্বাধীনতা না থাকলেও এরা হয় জেদি। এরা সাধারণত কমিউনিকেশন প্রবলেম এ ভোগে। চাপা স্বভাবের হতে পারে, অথবা এরা এক জিনিস বোঝাতে অন্য জিনিস বোঝায়। নিজেকে সরাসরি প্রকাশ করতে পারে না, কিন্তু বিভিন্নভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে চায়। এমন মেয়ের সাথে কীভাবে সম্পর্ক করবেন? এরা আসলে স্বপ্নময়ী। এরা কোন বিষয় নিয়ে স্বপ্ন দেখে গভীর আবেগ নিয়ে। এদের প্রেমেও থাকে গভীর আবেগ। তাই এদেরকে স্বপ্ন দেখতে দিতে হবে বা সেই স্বপ্নের মাঝে ঢুকে যেতে হবে। এদেরকে কিনে নেওয়া খুব সহজ। আপনি স্বপ্ন দিয়ে এদের কিনে নিতে পারবেন। এরা নিজের একাকিত্ব কিংবা অস্তিত্বহীনতা ভুলে থাকতে আপনাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, আপনার মাঝেই নিজেকে হারিয়ে ফেলবে। এরা সাধারণত একনিষ্ঠভাবে ভালবাসে এবংতার জন্য পরিবার- সমাজের বাইরেও যেতে যুদ্ধ করে।
এবার ১ম টাইপ মেয়ে বা সব থেকে জটিল টাইপ মেয়ে। এরা হচ্ছে পৃথিবীর সব থেকে জটিল ধাঁদা এবং হার্ড তার্গেট। আপনার যদি জীবনের প্রতি কোন মায়া না থাকে, আপনি যদি হন ব্যর্থ-হতাসাগ্রস্থ এক যুবক, তাহলে জীবনটাকে তামাতামা করার জন্য এদের পিছে যেতে পারেন। এদের সাথে সম্পর্ক হয় সবসময় একত্রফা। এরা এদের ফ্যামিলির বিপক্ষে কখনোই যাবে না। আপনার জন্য যদি এক পা সামনে আসে তাহলে সেটা জাস্ট আপনাকে আরো তার পিছে ঘোরানোর জন্যেই। এদের জীবনে হয়ত সবই আছে শুধু রোম্যান্সের ঘাটতি। এই রোম্যান্স এরা আপনাকে দিয়ে নিবে। এরা যেহেতু নিজেরা ভালবাসার অধিকার রাখে না, তাই এরা চায় কেউ একজন এদেরকে পাগলের মত ভালবাসুক। এরা অন্যের চোখে ভাললাগা দেখতে চায়, অন্যের মুগ্ধতা দেখতে চায়, কিন্তু নিজে সেসব করতে চায় না। এরা হচ্ছে সেসব মানুষ যারা পানি না ছুঁয়েই মাছ ধরতে চায়। আপনি যদি এদের কাউকে এদের মন মত ভালবেসে আগান, জীবনেও এদের পাবেন না। এদের যতই ভালবাসুন এরা কখনোই আপনার হাতে ধরা দেবে না। আবার আপনাকে ছেড়েও দেবে না। আপনাকে কষ্ট দিয়েই এদের সুখ। তাই আপনার উচিত হচ্ছে এদের এই টাইপ ধরতে পারলেই এদের থেকে এক হাজার হাত দূরে থাকা। কারণ আপনি এদের কখনোই পাবেন না, শুধুই কষ্ট আর যন্ত্রণা পাবেন।
কারণটা ভালো করে জেনে রাখুন। এরা হচ্ছে পারফেক্ট শিকারি। শিকারি শুধু শিকারেই আনন্দ পায়। আপনার কাছে যেটা নির্মমতা, এদের কাছে সেটাই আনন্দ। আপনি যদি এদের এই ব্যাপারটা না ধরতে পেরে এদের সহজ শিকার হন তাহলে এদের কখনই পাবেন না এটাই চরম সত্য। বাঘ চিরকাল হরিণকেই শিকার করে, হরিণ কখনো বাঘকে শিকার করে না। তাই এদের ভালবাসলে এদের কাছেও আপনি দুর্বল হরিণ শাবক হয়ে যাবেন। এরপর জাস্ট ঘায়েল হয়ে যাবেন এবং নিজের লাইফ নষ্ট করবেন।
ভাবছেন আপনার বিশাল হৃদয়ের অসীম ভালবাসা দিয়ে এদের বদলে ফেলবেন? একদম উলটা ফল পাবেন। যত বেশি ভালবাসা দিবেন, আপনার ভালোবাসাকে তত সস্তা মনে করবে। শিকারির চোখে দেখলে ত আপনাকে একদম সস্তা ব্রয়লার মুরগী মনে করবে। এত সস্তা জিনিশ শিকারেও আনন্দ নেই। মানুষ টাফ জিনিশ শিকার করতে চায়। মানুষ সেই জিনিশ এর পিছেই ছোটে যা দুষ্প্রাপ্য এবং টাফ। তাই টাফ হোন, দুষ্প্রাপ্য হোন, ব্রয়লার মুরগি হবেন না।
banner
Monday, 16 October 2017
মেয়েরদের প্রকারভেদ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment