banner

Thursday 10 August 2017

লালনীল দীপাবলি বা বাংলা সাহিত্যের জীবনী- অধ্যায়ঃ চর্যাপদ এর সামারি এবং কুইজ

বাংলা সাহিত্যের প্রথম বই – চর্যাপদ
বইটির অন্য নাম- চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয় এবং চর্য্যাশ্চর্য্যবিনিশ্চয়
চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় – ১৯০৭
আবিষ্কারক – পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
আবিস্কারের স্থান- নেপালের রাজ দরবারের গ্রন্থাগার
চর্যাপদ এর সাথে আরো যে দুইটি তিনি আবিষ্কার করেন- ডাকার্ণব এবং দোহাকোষ
প্রকাশের নাম- হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা (১৯১৬)
প্রকাশিত হয়- বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে
চর্যাপদ যে বাংলা ভাষায় লেখা সেটা প্রমাণিত করেন – ডঃ সুনীতিকুমার চট্টপাধ্যায়
তিনি লিখেন- বাংলা ভাষার উতপত্তি ও বিকাশ (১৯২৬)

চর্যাপদ এ আছে ৪৬ টি পূর্ণ কবিতা এবং একটি ছেঁড়া খন্ডিত কবিতা
বা সাড়ে ছেচল্লিশটি  
পদকর্তা বা কবির সংখ্যা – ২৪ জন
তবে বাংলা পিডিয়া অনুযায়ী ২৩ জন
কবির নাম-
কাহ্নপাদ
লুইপাদ
সরহপাদ
চাটিল্লপাদ
ডোম্বিপাদ
ঢেণ্টপাদ
শবরপাদ
সবার নামের শেষে পাদ বা পা, যেমন কাহ্ন পা
এখানে পাদ বা পা বলতে কবি বোঝানো হয়েছে। জিনি পদ লেখেন তিনি হচ্ছেন পাদ বা পা।
সব থেকে বেশি পদ লিখেছেন কাহ্ন পা । তার অন্য নাম কৃষ্ণাচার্য
কাহ্ন পা এর পদ – ১২ টি
ভুসুকুপা – ৬ টি
সরহ পা – ৪ টি
কুক্কুরি পা – ৩ টি (একমাত্র মহিলা কবি)
লুই পা, শান্তি পা, শবর পা – ২ টি করে
বাকিরা সবাই ১ টি করে লিখেছেন

“টালত মোর ঘর নাহি পরবেষী।
হাড়ীত ভাত নাঁহি নিতি আবেশী।।
(অর্থাৎ- টিলার উপর আমার ঘর, কোনও প্রতিবেশী নেই। হাঁড়িতেও ভাত নেই, তবু নিত্য অতিথি আসে।

বেঙ্গ সংসার বডহিল জাঅ।
দুহিল দুধ কি বেন্টে ষামায়।।”
(সংসার বেগে বড় হয়ে গেল, দুধ দহন করার পরে কি আবার সেই দুধ বাটে ফিরে যায়?)
 এটি ৩৩ নং পদ, রচয়িতা- ঢেণ্ঢণ পা (দুঃখী কবি)
     
“সোণে ভরিতী করুণা নাবী।
রুপা থুই নাহিক ঠাবী।”
(আমার করুণা নামের নৌকো সোনায় সোনায় ভরে গেছে। সেখানে আর রুপো রাখার মত তিল পরিমাণ যায়গা নেই।)  
এটি লিখেছেন – কম্বলাম্বর পা
“অপণা মাংসেঁ হরিণা বৈরী” অর্থাৎ হরিণের মাংসের জন্যই হরিণ সকলের শত্রু।
লেখকঃ  ভুসুকু পা

“কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল। চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল ।।” আধুনিক বাংলায় : “দেহ গাছের মত, এর পাঁচটি ডাল/ চঞ্চল মনে কাল প্রবেশ করে।” এটি লিখেছেন - লুই পা

উঞ্চা উঞ্চা পাবত তঁহি বসই সবরীবালী  ।
মোরঙ্গি পীচ্ছ পরহিণ সবরী গিবত গুঞ্জরী মালী  ॥ ধ্রু ॥
উমত সবরো পাগল শবরো মা কর গুলী গুহাডা তোহৌরী  ।
নিঅ ঘরিণী ণামে সহজ সুন্দারী  ॥ ধ্রু ॥
ণাণা তরুবর মৌলিলরে গঅণত লাগেলি ডালী  ।
এটি লিখেছেন- শবরিপা

যে রাগ বা সুরে লেখা হয়েছে- রাগ পটমঞ্জরী, রাগ ভৈরবী, রাগ অরু ইত্যাদি।
চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত
চর্যাপদের কবিতাগুলো একই সাথে গান এবং কবিতা।
বাংলা ভাষায় ১৮০০ সালের পূর্ব পর্যন্ত সব কবিতাই মূলত গাওয়ার জন্য লেখা হত।
পড়ার জন্য প্রথম কবিতা লিখেন- মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

কুইজঃ
প্রশ্নঃ চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কত সালে এবং এর আবিষ্কারক কে?
উত্তরঃ ১৯০৭ সালে এবং পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
প্রশ্নঃ চর্যাপদ এর সাথে আরো যে দুইটি আবিস্কৃত হয় তাদের নাম কী?
উত্তরঃ ডাকার্ণব এবং দোহাকোষ
প্রশ্নঃ চর্যাপদ কী নামে প্রথম প্রকাশিত হয়? এবং কত সালে প্রকাশিত হয়?
উত্তরঃ হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা এবং ১৯১৬ সালে

প্রশ্নঃ চর্যাপদ যে বাংলা ভাষায় লেখা সেটা প্রমাণ করে দেখান কে?
উত্তরঃ – ডঃ সুনীতিকুমার চট্টপাধ্যায়
প্রশ্নঃ চর্যাপদ এর মোট কয়টি পদ পাওয়া গিয়েছে?
উত্তরঃ সাড়ে ছেচল্লিশটি  
প্রশ্নঃ চর্যাপদে পদকর্তা বা কবির সংখ্যা কত?
উত্তরঃ – ২৪ জন / ২৩ জন
প্রশ্নঃ সব থেকে বেশি পদ রচনা করেছেন কে?
উত্তরঃ কাহ্ন পা
প্রশ্নঃ “টালত মোর ঘর নাহি পরবেষী। /হাড়ীত ভাত নাঁহি নিতি আবেশী।।” এই পদটির রচয়িতা কে?
উত্তরঃ ঢেণ্টন পা
প্রশ্নঃ “সোণে ভরিতী করুণা নাবী। /রুপা থুই নাহিক ঠাবী।” পদটির রচয়িতা কে?
উত্তরঃ কম্বলাম্বর পা
প্রশ্নঃ “অপণা মাংসেঁ হরিণা বৈরী” অর্থাৎ হরিণের মাংসের জন্যই হরিণ সকলের শত্রু। কে লিখেছেন?
উত্তরঃ  ভুসুকু পা
প্রশ্নঃ উঞ্চা উঞ্চা পাবত তঁহি বসই সবরীবালী  /মোরঙ্গি পীচ্ছ পরহিণ সবরী গিবত গুঞ্জরী মালী” কে লিখেছেন?
উত্তরঃ শবরিপা

প্রশ্নঃ চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কত সালে এবং প্রকাশিত হয় কত সালে?
প্রশ্নঃ কায়া বা শরীরকে গাছের মত বলে উপমা দিয়েছেন কোন কবি?
প্রশ্নঃ The Origin and Development of the Bengali Language বইটি লেখক কে?
প্রশ্নঃ চর্যাপদ এর একমাত্র মহিলা কবি কে?